বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ দাবি করেছেন যে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় বিএনপির ৪২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় নিহতদের নাম, পরিচয় ও ঠিকানা নিয়ে একটি বিস্তারিত তালিকা বিএনপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় সারা দেশে ৮৭৫ জন শহীদ হয়েছেন, এর মধ্যে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এই ঘটনা একেবারেই বিচ্ছিন্ন নয়। এটি বিএনপির দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সংগ্রামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।” তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অসন্তোষ ও ক্ষোভের কারণে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও দাবি করেন যে, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপির ৪২২ জন নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। এছাড়া, ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির ১ হাজার ৫৫১ জন শহীদ হন এবং ৪২৩ জন গুম হন। মির্জা ফখরুল জানান, এই স্বৈরাচারের শাসনআমলে গুমের সংখ্যা প্রায় ৭০০।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান ও সালাউদ্দিন আহমেদ। বিএনপি তাদের ত্যাগ এবং সংগ্রামের এই পরিসংখ্যানকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন হিসেবে দেখছে।