হিজবুল্লাহর সঙ্গে লেবাননে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ যেন কোনোভাবেই আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ না নেয় তা নিশ্চিত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তবে একদিন যেতে না যেতেই সেই তিনিই আবার প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পক্ষে কথা বলছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি লক্ষ্যের সঙ্গে একমত। এর আগে, তিনি গোপনে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে তাঁর মন্ত্রিসভায় ভর্ৎসনার শিকার হন। পরে তিনি প্রকাশ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের বিবৃতির পরে একটি বিবৃতি জারি করেছে। যেখানে ইসরায়েল ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা বুধবার ওয়াশিংটন ও প্যারিসের প্রস্তাবিত ২১ দিনের যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করবে। তারা বলেছে, ইসরায়েলি এবং আমেরিকার প্রতিনিধি দল মার্কিন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাক্ষাৎ করেছে। আগামী দিনে এসব আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছেন, ‘মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক ভুল প্রতিবেদনের কারণে কয়েকটি পয়েন্ট স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। এই সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে অন্যান্য আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে লেবাননে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সামনে রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আমাদের উত্তর সীমান্তের লোকেদের নিরাপদে এবং সুরক্ষিতভাবে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে সক্ষম করতে মার্কিন নেতৃত্বে গৃহীত উদ্যোগও মেনে নিয়েছে।’ বিবৃতিতে ইসরায়েল যোগ করেছে, হিজবুল্লাহ কোনো উদ্যোগ নিলে তারাও লেবাননে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে নতুন করে আক্রমণ চালাবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স স্পষ্ট করেছিল যে, নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছেন। ঠিক তারপরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করে ওয়াশিংটন ও প্যারিস।