বরিশালে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০১ জন

বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে আজ শনিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০১ জন। চলতি বছর বিভাগে এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৮৮।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আতাহার হাওলাদার (৪৫) নামের এক রোগী মারা যান। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গাড়ুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। একই হাসপাতালে আজ ভোরে মারা যান মো. সোলাইমান মিয়া (৭০) নামের অপর এক ব্যক্তি। তিনি পটুয়াখালী সদরের বাসিন্দা ছিলেন। সোলাইমান বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত এ বিভাগে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১০ জন। আর বাকি ছয়জন মারা যান আগস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। এর মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে এই বিভাগের ছয়টি জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৭৭ জন। বাকি ৯১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন আগস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

সূত্রটি আরও জানায়, চলতি বছর বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের চেয়ে কম। এ নিয়ে ছয়টি জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজার ৫৮৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০১ জন। এর মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জন, বরগুনায় ৩৩, পিরোজপুরে ১৪ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬, ভোলায় ১৪ ও ঝালকাঠিতে ১ জন ভর্তি হয়েছেন। গত বছর বিভাগে ৩৮ হাজার ১৬৬ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আর মৃত্যু হয়েছিল ২১৪ জনের।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, এবার জুন-জুলাইয়ে বৃষ্টি কম হয়েছে। পাশাপাশি এবার এপ্রিলের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত অত্যধিক তাপপ্রবাহ ছিল। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে এডিস মশার বংশবিস্তারের হার কমে যায়। এ জন্য এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ এখনো কম।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *