তারকারা কে কোথায় পূজা কাটাচ্ছেন

Spread the love

একমাত্র ছেলের অসুস্থতার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কানাডায় আছেন কুমার বিশ্বজিৎ। এবারের পূজাও সেখানেই করছেন। কথায়–কথায় জানালেন, পূজা এলেই তাঁর মনে পড়ে ছেলেবেলার কথা।জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর শৈশব কেটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।

বড় আয়োজনে সেখানে পূজা হতো। তিনি বলেন, ‘পূজার যত আনন্দ এক জীবনে পেয়েছি, সবই ছেলেবেলায়। ওই সময় আর আসবে না। এই দিনগুলো কেটেছে গ্রামে। পূজা এলেই মায়ের শাড়ি ও অন্যদের শাড়ি দিয়ে প্যান্ডেল বানানো হতো। ১৫ দিন আগে থেকে উৎসব উৎসব আমেজ ছিল। পূজার সময়ে আমাদের ওখানে রাউজান থেকে একজন ঢুলি আসতেন। এখনো চোখে ভাসে তাঁর ঢোল বাজানোর দৃশ্য।’ কয়েক বছর আগে পৃথিবীর মায়া কাটান বিশ্বজিতের মা। তিনি বলেন, ‘ছেলেবেলায় পূজায় পাচন রান্না করতেন মা। সেই পাচনের স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। আরও কত–কী রান্না করতেন! তাই পূজা এলে মাকে ছাড়া খারাপ লাগে।’

নতুন একটি গান প্রকাশ করে শ্রোতাদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাপ্পা মজুমদার। গতকাল প্রকাশিত হয়েছে নতুন গান ‘শহরের চোখ’। গত বুধবার বিকেলে বাপ্পা বললেন, ‘পূজার আয়োজন দেখতে বাসার বাইরে যাওয়া হবে। বাসার কাছে বনানী পূজামণ্ডপ, একদিন পরিবারের সবাই মিলে ঘুরব। আপাতত এ রকমই পরিকল্পনা।’

সাধারণত পূজায় রাজশাহীতে যান মডেল ও অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিম। সেখানেই তাঁর দাদা-নানার বাড়ি। বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরুর পর এবারই প্রথম রাজশাহীতে যাওয়া হচ্ছে না। রাজশাহীর বাঘার নারায়ণপুরে মিমের দাদাবাড়িতে পূজার আয়োজন হয়। ছোটবেলা থেকেই এই পূজার আয়োজন দেখে আসছেন। জানালেন, পূজার ছুটি শেষে ১৭ অক্টোবর মাকে নিয়ে ভারতে যাবেন। তাই পূজা এবার ঢাকাতেই কাটাবেন মিম। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও বনানীর পূজামণ্ডপে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।

মাস চারেক আগে মাকে হারিয়েছেন বাপ্পী। তাই এবারের পূজায় মনটা খুব খারাপ। কেনাকাটা করেননি।বুধবার জানালেন, নতুন কিছু কেনাকাটার আগ্রহও নেই। মনটা মনটা খুব খারাপ।বললেন, ‘গত বছরও মায়ের সঙ্গে কত আনন্দ করেছি। কিন্তু এবার তা হবে না ভাবতেই খারাপ লাগছে।’ নানিবাড়ি পূজা দেখতে আজ শুক্রবার নরসিংদীর মাধবদীতে যাবেন। সেখানকার পূজার আয়োজন শেষে নারায়ণগঞ্জে ফিরবেন। নারায়ণগঞ্জের ছেলে বাপ্পীর পূজা হয় আমলাপাড়ার দরিদ্র ভান্ডার এলাকায়। জন্ম থেকেই এখানকার পূজার আয়োজন দেখছেন তিনি। একটা সময় পূজার পুরোটা সময় এখানে কাটলেও চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হওয়ার পর অন্যদিন না পারলেও দশমীতে সেখানে থাকেন। এবারও থাকবেন।

ছয় মাস আগে মাকে হারিয়েছেন পূজা চেরী। তাঁরও মন ভালো নেই। কাজের জন্য বাইরে থাকলেও ঘরে ফিরে মাকে খুঁজে বেড়ান। গত বছর মাকে নিয়ে পূজামণ্ডপে ঘুরে বেড়িয়েছেন পূজা চেরী। এবার সেই সুযোগ নেই। পূজা নিজেও এবার ঢাকায় নেই। মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জে গেছেন, সেখানে ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাকমানি’র শুটিং চলছে।শুটিংয়ের ফাঁকে আশপাশের কোনো পূজামণ্ডপে হয়তো ঢুঁ মারতে পারেন। তবে নিজের জন্য কেনাকাটা করেননি। একমাত্র ভাই ও তাঁর সন্তানদের জন্য আগেই পূজার কেনাকাটা সেরেছেন।

নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্তও এবারের পূজায় কেনাকাটা করেননি। গত কয়েক মাসে দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এত মানুষ মারা গেছে, তাই মনটাও বিষণ্ন। বরাবরের মতো এবারের পূজাও ঢাকায় কাটবে। ঢাকার বনানী ও বারিধারার পূজামণ্ডপে কাটবে তাঁর সময়। এর বাইরে জগন্নাথ হল, ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালীমন্দিরেও যাবেন। পরিবার আর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *